ভয়াবহ তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। বৈরি আবহাওয়ায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ২০ কোটি মানুষ। তুষারপাত ও বরফের কারণে দেশটিতে বাতিল হয়েছে কয়েক হাজার ফ্লাইট। জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। এদিকে, কানাডার টরেন্টো, অটোয়া ও মন্ট্রিলে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি তুষারপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শীতকালীন ঝড়ের কবলে স্থবির যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জনজীবন। এক ফুটের বেশি তুষারপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অনেক অঞ্চল।

মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ বলছে, আগামী কয়েক দিন পূর্বাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকায় শীতকালীন ঝড় বইবে। সংকট মোকাবিলায় কানেকটিকাট, জর্জিয়া, মিনেসোটা, ইলিনয়, ফ্লোরিডা এবং ওয়াশিংটনসহ অনেক অঞ্চলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের।

এদিকে, তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বাতিল হয়েছে কয়েক হাজার ফ্লাইট। পুরু তুষারের আস্তরণ পড়ায় সড়ক পথেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। ফলে, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

বৈরি আবহাওয়ায় বিপাকে বড়দিনের ছুটি কাটাতে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে যাওয়া বাসিন্দারা। ভাটা পড়েছে বড়দিন উদযাপনেও। চার দশকে এবার বড়দিনে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

শুধু তাই নয়, অনেক রাজ্যে তাপমাত্রা মাইনাস ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ১০ মিনিটেই হতে পারে ফ্রস্টবাইট। এক্ষেত্রে সাধারণত রক্তপ্রবাহ কমে, নাক-গাল, হাত ও পায়ের ত্বকের টিস্যু জমে গিয়ে ফেটে যায়। এতে অঙ্গহানিও ঘটতে পারে।

এদিকে, কানাডার অন্টারিও প্রদেশে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন কুইবেকসহ অনেক রাজ্য। কিছু এলাকায় বন্যার পূর্বাভাসও জারি করা হয়েছে।সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন।