ভুয়া মালিক ও সাবরেজিস্ট্রার সাজিয়ে জমি বিক্রির অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

ডিএমপি জানায়, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকা থেকে আসামি মুক্তা আক্তার ও মো. তুষার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিটিটিসির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম বিপিএম (বার) জানান, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁরা সুকৌশলে জমির ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতেন। প্রথমে দু-একটি জমি যাচাই সাপেক্ষে কিনতে সহায়তা করতেন। ভুক্তভোগীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করে চক্রের অন্য সদস্যদের মাধ্যমে ফাঁদ পাততেন। পূর্বাচলকেন্দ্রিক রাজউকের বিভিন্ন প্লটের ভুয়া সরকারি বরাদ্দপত্র, অফিস আদেশ, মালিকানা সার্টিফিকেট, বিক্রির অনুমতিপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করতেন। এরপর রূপগঞ্জ থেকে ভুয়া সাবরেজিস্ট্রার অফিস কর্তৃক নিজস্ব লোকজনের সহায়তায় ইয়ুথ গ্রুপের অফিসে বসে রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় কাজ করতেন। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি তদন্তকালে গত সোমবার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।