চেক, স্ট্যাম্পসহ আটক প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চাকরিপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সময় ঢাকার শাহীনবাগ এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ১ এপিবিএন উত্তরা। আটক ব্যক্তির নাম মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৬)। তাঁর কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, প্রতারণার শিকার হওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়েছে।

১ এপিবিএন জানায়, মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে সোনালী ব্যাংকের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন আব্দুর রাজ্জাক। রাজ্জাক এই চুক্তি করেন, জিয়াউরকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় তিনি রাজ্জাককে ১০ লাখ টাকা দেবেন। ১০ লাখ টাকা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে রাজ্জাক একটি স্ট্যাম্পে জিয়াউরের স্বাক্ষর নেন।

সম্প্রতি আব্দুর রাজ্জাক ভুয়া নিয়োগপত্র সৃজন করে জিয়াউরের মোবাইলে সেই নিয়োগপত্রের অনুলিপি পাঠান এবং চুক্তিমাফিক টাকা দাবি করেন। নিয়োগপত্রের বিষয়ে জিয়াউরের সন্দেহ হলে তিনি তা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে গিয়ে যাচাই করেন এবং জানতে পারেন সেটি ভুয়া। এরপরই তিনি বিষয়টি তিনি ১ এপিবিএন উত্তরা, ঢাকাকে লিখিতভাবে জানিয়ে আইনগত প্রতিকারের আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১ এপিবিএন-এর সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর শাহীনবাগ এলাকা থেকে রাজ্জাককে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে আটক করেন।

এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র, স্ট্যাম্প, চাকরিপ্রত্যাশীদের পরীক্ষার মূল সনদ এবং ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয। তাঁর মোবাইল ফোন সেট তল্লাশি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, ভুয়া নিয়োগপত্র পাওয়া যায়।
রাজ্জাক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তিনি চাকরি দেওয়ার নামে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে চুক্তি করতেন এবং তাঁদের কাছ থেকে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ রাখতেন। পরে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে সহযোগীদের সহায়তায় চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।