মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই স্কুলশিক্ষার্থী বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

গতকাল মঙ্গলবার ওমানের বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতি সর্বোচ্চ খারাপ থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আবহাওয়াবিদ আয়েশা জুমা আল কাসমি বলেছেন, ‘এটি আবহাওয়া ব্যবস্থার ওপর সবচেয়ে শক্তিশালী আঘাত। মুসানদাম, আল দাহিরাহ, আল বুরাইমি, উত্তর আল বাতিনাহ এবং আ’দাখিলিয়াহ প্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ আল বাতিনাহ, মুসকাত এবং আল উস্তার কিছু অংশে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন তীব্রতার বৃষ্টিপাত হতে পারে।’

ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওমান কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মুসকাত এবং উত্তর আল শারকিয়ায় দুটি সফল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

এদিকে, দেশটির গণপরিবহন পরিষেবা মাওয়াসালাত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং তাদের সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপডেট জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিষেবা স্থগিত করেছে।

ওমান ন্যাশনাল কমিটি ফর ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অব্যাহত আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং আরও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কার মধ্যে সবাইকে বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।