ব্রাজিলের তিনটি প্রদেশে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের তিনটি প্রদেশে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে অন্তত ৪৫ নিহত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে রিও ডি জেনিরো, সাও পাওলো ও বাহিয়া প্রদেশে অপারেশন শিল্ড নামে অভিযানে তাঁরা মারা যান।

পুলিশের এই কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর চালানো এই অভিযান একধরনের প্রতিশোধপরায়ণ গণহত্যা। অন্যদিকে দেশটির প্রশাসন বলছে, পুলিশ শুধু মাদক কারবারিদের প্রতিরোধ করছে। এই অভিযান আগস্ট মাস জুড়ে থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

গতকাল বুধবার সকালে রিও ডি জেনিরোর কমপ্লেক্সো দা পেনহা ফাভেলায় মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বেসামরিক ও সামরিক পুলিশের অভিযানের সময় ১০ জন নিহত হন। বাসিন্দারা বলছেন, ওই এলাকায় ভোর ৩টার দিকে ভারী বন্দুকযুদ্ধ হয়।

গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাহিয়া প্রদেশের রাজধানী সালভাদর এবং কামাকারি ও ইতাতিমের এলাকার কাছাকাছি শহরগুলোতে সামরিক পুলিশের সঙ্গে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষ হয়। এতে ১৯ জন মারা যান।

এদিকে সাও পাওলো প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার বাইক্সদা সান্তিস্তা অঞ্চলে পুলিশের চলমান অভিযানে ১৬ জন মারা গেছেন। এটি সাও পাওলো পুলিশের পরিচালিত মারাত্মক অপারেশনগুলোর মধ্যে একটি।

এর আগে গুয়ারুজাতে সামরিক পুলিশের কৌশলগত ইউনিট রোটারের সদস্য প্যাট্রিক বাস্তোস রেইসেকে হত্যা করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় প্রায় ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তার হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গতকাল বুধবার একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ওই এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার, ৪০০ কেজি মাদক ও ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।

এদিকে বাইজাডা সান্তিস্তা এলাকায় পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা এটিকে প্রতিশোধপরায়ণ গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মানবাধিকার প্রতিরক্ষাবিষয়ক রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের (কনডেপে) সভাপতি দিমিত্রি সেলস গণমাধ্যমকে বলেন, গুয়ারুজায় যা ঘটেছে তা একটি গণহত্যা। এগুলো ছিল ইচ্ছাকৃত হত্যা। সাও পাওলো প্রদেশে এ ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।

প্রদেশটির গভর্নর টারসিসিও দে ফ্রেইটাস জানান, পুলিশ মাদক কারবারিদের প্রতিরোধ করেছে। অপরাধীদের আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করেছে পুলিশ। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অপারেশন শিল্ড নামে চলা এই অভিযান আগস্টের শেষ পর্যন্ত চলবে৷ সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইন।