মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল আমরা পাচ্ছি না। অপজিশন বলতে যারা আছে, তাদের মধ্যে দুটোই হচ্ছে মিলিটারি ডিকটেটর, একেবারে সংবিধান লঙ্ঘন করে, আর্মি রুলস ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের হাতে গড়া। কাজেই তাদের ঠিক ওই মাটি ও মানুষের সাথে যে সম্পর্ক, সেই সম্পর্কটা তাদের মাঝে নেই। তাদের কাছে ক্ষমতাটা ছিল একটা ভোগের জায়গা। সেই ক্ষেত্রে আসলে অপজিশন তাহলে কোথায়? এখানে একটা পলিটিক্যাল সমস্যা কিন্তু আছে।’

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড থেকে যখন শোনায় যে এখানে ডেমোক্রেসি, পার্টিসিপেটরি ডেমোক্রেসি, ইলেকশন, হেনতেন; কিন্তু আসলে এখানে করবেটা কী, সেটাও তারা চিন্তা করে না। গণতন্ত্রের কথা বলতে গেলে অনেক দল দরকার। উন্নত বিশ্বে দেখলে আপনারা দেখবেন, সেখানে কিন্তু মাত্র দুই দল হয়ে গেছে এখন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুই দলের বেশি শক্তিশালী দল নাই।’

পশ্চিমা দেশগুলোতে নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনীহা দেখছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো জানি, আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ সংগঠন ইলেকশনই করে না। ইলেকশন করার বিষয়ে একটা অনীহা চলে আসে মানুষের। এটাও কিন্তু অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশটা ধীরে ধীরে ও রকম হয়ে যাচ্ছে।’

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলা এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান, রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমম্বয়ক জুয়েনা আজিজ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। সভা সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গত তিন বছরের কাজের ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।