প্রতীকী ছবি

প্রায় আড়াই হাজার ফেসবুক আইডি হ্যাক করা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি সিপিইউ, দুটি মোবাইল ফোন ও ১০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তাঁর কাছে থাকা প্রায় আড়াই হাজার দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়।

রোববার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এনায়েতপুর এলাকা থেকে আসামি মো. লিটন ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের লিডার অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. নাজমুল হক জানান, ফিশিং লিংক তৈরি করে ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন আসামি। সেসব লিংকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইনের চেষ্টা করামাত্রই পাসওয়ার্ড ও ইউজার নেম তাঁর কাছে চলে যায়। পরে আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দ্রুত নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এরপর মেসেঞ্জারে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি/ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখেন। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেন তিনি। কেউ টাকা দিতে না চাইলে ব্যক্তিগত ছবি/ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দেন।

তিনি বলেন, এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি কদমতলী থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় হ্যাকারের অবস্থান শনাক্ত হয়। পরে রোববার অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি লিটনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।
১. সাইবার স্পেসে অপরিচিত কোনো আইডি থেকে পাঠানো লিংকে প্রবেশ না করা
২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা
৩. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যথাযথ সিকিউরিটি সেটিংস ব্যবহার করা
৪. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো স্পর্শকাতর তথ্য, ছবি/ভিডিও শেয়ার না করা।