সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার অন্যতম পরিকল্পনাকারী কাজী মনসুর আলম ও অর্থদাতা নবী উল্লাহ নবীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ ও ওয়ারী বিভাগ। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) জানান, শনিবার ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবী, যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলম, যুবদলকর্মী মো. ইকবাল হোসেন স্বপন, মো. রাসেল, দেলোয়ার হাকিম বিপ্লব, মো. সালাউদ্দিন, মো. কবির ও মো. হাসান আহমেদ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুই দিন আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনাম, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ গাফ্ফার, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন বাবলু, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান চৌধুরী ও যুবদল নেতা কাজী মনসুর আলমসহ যুবদলের আটটি দলের নেতারা ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অংশ নেন। এতে বলা হয় ৫, ৬ ও ৭ জানুয়ারি যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনে অংশগ্রহণবিরোধী লিফলেট বিতরণ, প্রার্থীদের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ এবং ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ককটেল বিস্ফোরণ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে। এ ছাড়া ওয়ার্ড ও থানা যুবদলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করিয়ে এর ছবি ও ভিডিওচিত্র ওপরে পাঠাতে হবে। সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে আসতে নিরুৎসাহিত হয়।

কনফারেন্সে আরও বলা হয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেন এবং কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কনফারেন্সে তাঁরা আগুন লাগানোর প্রস্তাব দিলে একজন রাজি হন। এরপর রবিউল ইসলাম নয়নের বিশ্বস্ত লালবাগের তিনজন সন্ত্রাসীসহ আরও কয়েকজন মিলে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীকে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের পরামর্শদাতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৬টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।