পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় প্রায় ৬০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ইয়াতেঙ্গা প্রদেশের কারমা গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার (২৩ এপ্রিল) স্থানীয় কৌঁসুলি লামিনে কাবোরের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় রয়টার্স।

নিকটবর্তী শহর ওয়াহিগুয়ার পুলিশের বরাত দিয়ে লামিন কাবোরে বলেন, মালির সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।

জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো বছরের পর বছর ধরে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে। তবে কাবোরের বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে দেশটিতে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা বেড়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক সশস্ত্র বাহিনী দেশজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করার পরও এ ধরনের হামলা থামেনি।

বুরকিনা ফাসো সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ওয়াহিগুয়ার কাছে একই এলাকায় সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ওপর অজ্ঞাত সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ৪০ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়। এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা মূলত মালি থেকে শুরু হয়েছিল।

ইসলামপন্থীরা ২০১২ সালে তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণের পর থেকে এই অঞ্চলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। যা পরে বুরকিনা ফাসো, নাইজার ও অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন দেশে এই অস্থিরতায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। বাস্তুচ্যুত হয়েছে অন্তত ২৫ লাখ মানুষ। সূত্র: ইত্তেফাক।