বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চলমান রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এ সংকটকে আরও তীব্র করেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ২৩ মে এ কথা জানিয়েছে। খবর বাসসের।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের কারণে বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা এই প্রথম রেকর্ডসংখ্যক ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য মারাত্মক সংঘাত এ সংকট তীব্র করেছে।

ইউএনএইচসিআর আরও বলছে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৯ কোটি। ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো, মিয়ানমার, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান ও কংগো প্রজাতন্ত্রের সংঘাতই ছিল বাস্তুচ্যুতির বড় কারণ।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর থেকে ইউক্রেনের মধ্যেই ৮০ লাখের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ ছাড়া ৬০ লাখের বেশি মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ১০ কোটির এই সংখ্যা একটি ভয়াবহ চিত্র। এই রেকর্ড তৈরি হওয়া উচিত ছিল না। তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ এই সংঘাত নিরসনে এ চিত্রকে সতর্কবার্তা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। নিরীহ জনগণ কেন ঘর ছাড়ছে, তার অন্তর্নিহিত কারণগুলোও মোকাবিলা করতে হবে।

গ্রান্ডি বলেন, বিশ্বজুড়ে সব ধরনের সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানবিক সহায়তা উপশমকারী, নিরাময় নয়। তিনি শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকেই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় হিসেবে উল্লেখ করেন।