ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২২ আগস্ট সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে যান। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

জননিরাপত্তা বিধান, জনশৃঙ্খলা রক্ষা ও স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে গত ১৯ আগস্ট বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে বাম চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।

তিনি শুক্রবার সকালে ভারতের চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন। তার চোখের অবস্থা সংকটাপন্ন।

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২২ আগস্ট সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে যান। আইজিপি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

আইজিপি অজয় চন্দ্র দেবের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

আইজিপির ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে অজয় চন্দ্র দেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত পাঠানো হয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে দলটির নেতা-কর্মীরা সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন। পুলিশ তাঁদের জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করা এবং নৈরাজ্য বন্ধের অনুরোধ জানলে তাঁরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকেন। তাঁদের ছোঁড়া ইট-পাথরের আঘাতে কর্তব্যরত হবিগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বাম চোখে মারাত্মক আঘাত পান। তাঁকে তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসায় মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেন।

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সেই থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ পুলিশের দেশপ্রেমিক অকুতোভয় পেশাদার সদস্যরা দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য আইনানুগ দায়িত্ব পালনকালে আহত হলে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।