বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি সই হয়। এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি ছবি তুলে দেন। ছবি: বাসস

বাংলাদেশকে ২২৫ কোটি (২.২৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ, দুর্যোগ প্রস্তুতি ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পে এ ঋণ দেওয়া হবে। স্থানীয় সময় সোমবার (২ মে) বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।

পাঁচটি প্রকল্প হলো: রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট), অ্যাকসিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১, ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি) এবং সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট)।

এসব প্রকল্পের মধ্যে অভিযোজন ও ঝুঁকি হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট’ রয়েছে, যা ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ বাস্তবায়নে প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রকল্প। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নয়নে সহায়তা করবে।

দ্বিতীয় প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বিইএসটি)। এটি বাংলাদেশে পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করবে।

তৃতীয় প্রকল্পটি হলো ৭৫৩.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে অ্যাকসিলারেটিং ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেড কানেকটিভিটি ইন ইস্টার্ন সাউথ এশিয়া (এসিসিইএসএস)-বাংলাদেশ ফেজ-১; যা ঢাকাকে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।

চতুর্থ প্রকল্প ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি); যা দেশকে সবুজ ও জলবায়ুসহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করবে।

এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ প্রকল্প ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (এসএমএআরটি)। এটি ক্ষুদ্র শিল্প খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, দক্ষ এবং জলবায়ুসহনশীল প্রবৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে সহায়তা করবে।