উদ্ধার করা ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা। ছবি : ডিএমপি নিউজ

বন্ধুর ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী থানা-পুলিশ। আর পুলিশি তৎপরতায় ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল। খবর ডিএমপি নিউজের।

পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. পারভেজ ইসলাম পিপিএম (বার) জানান, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মো. মনির হোসেন মুন্না নামের এক ব্যক্তি থানায় এসে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ করতে চান। এত বেশি পরিমাণ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহ হয় কর্তব্যরত অফিসারের। তাৎক্ষণিক টহল পুলিশের মাধ্যমে অভিযোগ দিতে আসা ব্যক্তির কথিত ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ঘটনাস্থলে ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি মর্মে পুলিশ নিশ্চিত হয়। এরপর কৌশলে মনির হোসেনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখন প্রকাশ্যে আসে থলের বিড়াল। পুলিশ জানতে পারে, তিনি নিজেই ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করে ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজিয়েছেন।

যেভাবে টাকা উদ্ধার

টাকা উদ্ধার সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরে সোমবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে পল্লবীর ২ নম্বর রোডের মুন্নার ভাইয়ের ভাড়াটের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এ ঘটনায় মুন্নার বন্ধুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পল্লবী থানায় রুজুকৃত মামলায় মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ। তিনি বলেন, এ টাকার প্রকৃত মালিক বাদীর ছোট ভাই অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী মো. ফকরুল আলম ওরফে রিয়ার। তিনি পল্লবীর এক বন্ধুর কাছে এ টাকা পাওনা ছিলেন।

বাদী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাঁর বন্ধু অভিযুক্ত মুন্নাকে উক্ত টাকা আনার জন্য বলেন। অভিযুক্ত মুন্না পাওনাদারের কাছ থেকে চেক নিয়ে এসে ব্র্যাক ব্যাংক পল্লবী শাখা থেকে টাকা ওঠান। উক্ত টাকা মুন্না তাঁর ভাইয়ের ভাড়াটে বাসায় রেখে ছিনতাইয়ের ঘটনা সাজান।

গ্রেপ্তার মুন্নাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।