পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে একটি চোরাই ইজিবাইক।

আজ ২৯ জানুয়ারি ভোররাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হলেন মো. জহুরুল মন্ডল (৪০), মো. বাদশা সরদার (৪৫), মো. রতন হোসেন (২৮), মো. সাব্বির হোসেন (২৭) ও মো. রাশিদুল ইসলাম (২৬)।

জানা গেছে, ২৬ জানুয়ারি বিকেল আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে জনৈক মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী তাঁর ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বড়াইগ্রাম থানাধীন বনপাড়া বাইপাস মোড়সংলগ্ন আমিনা হাসপাতালের পার্কিং এরিয়ায় রেখে ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালের ভেতরে যান। চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার সময় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে ইয়াকুব তাঁর ব্যবহৃত ইজিবাইক না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে জানতে পারেন, অজ্ঞাতনামা চোর ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় ইয়াকুব আলী বড়াইগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলামের সার্বিক দিকনির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের যথাযথ তত্ত্বাবধানে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসির নেতৃত্বে লালপুর থানা, বড়াইগ্রাম থানা, বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার-ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস টিম ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা এবং গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে নাটোর, রাজশাহী, পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তজেলা ইজিবাইক চোর চক্রের পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

পরে গ্রেপ্তার আসামিদের দেখানো মতে, ওই চুরি যাওয়া ইজিবাইক খণ্ডিত অবস্থায় লালপুর থানাধীন ভাদুর বটতলা বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার আসামিরা বগুড়া, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী জেলায় সংঘবদ্ধভাবে ইজিবাইক চুরি করে আসছিলেন। তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।