বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ছবি: বাসস

মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ সম্পূণরূপে নির্মূলের মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ-প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বছরের প্রথম অধিবেশনেই ভাষণ দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। খবর বাসসের।

রাষ্ট্রপ্রধান দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলা’ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার তাগিদ দেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্য তুলে ধরেন।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি হামিদ মেট্রোরেল চালু, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, করোনা মোকাবিলা, বাস্তুুচ্যূত রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য প্রদান এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরীতা নয়’-এ নীতির কথা উল্লেখ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। খবর বাসসের।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, সরকারের যুগোপযোগী ও নারীবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বাংলার নারীরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রসঙ্গ টেনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের নিট ভর্তি হার ৯০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৭ দশমিক চার-দুই শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় ‘ঝরে পড়ার হার’ ৪৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৪ দশমিক এক-পাঁচ শতাংশে নেমে এসেছে।

শুরুতেই মহামান্য রাষ্ট্রপতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের। স্মরণ করেন, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জাতীয় চার নেতা এবং গণতান্ত্রিক বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের।