প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিশু মোছা. মায়দা আক্তার রজনীকে (৮) হত্যার ১৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল রহস্য উদঘাটন এবং সরাসরি জড়িত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত এক শিশুকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে ধুনট থানা-পুলিশ।

৫ মে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ধুনট থানায় একটি খবর আসে, ৮ বছর বয়সী একটি মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে থানায় একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়েছে।

তাৎক্ষণিকভাবে থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সরা নিখোঁজ মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ধুনট থানাধীন এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনে রজনীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুর রশিদের তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, শেরপুর সার্কেল, বগুড়া এবং ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ধুনট থানা-পুলিশ ধুনট থানাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার ১৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত এক শিশুকে (১৭) আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শিশু জানায়, ঘটনার আনুমানিক ১০ দিন আগে সে এবং অন্য দুজন রজনীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।

৪ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় রজনী ঘটনাস্থল-সংলগ্ন শহীদ মিনারের পাশের একটি বড় আমগাছের নিচে আম কুড়াতে গেলে তারা তাকে অপহরণ করে স্কুলের দক্ষিণ পাশের গলিতে নিয়ে যায় এবং মুখ চেপে ধরে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি তাদেরকে চিনে ফেলায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট দিয়ে মাথার বাঁ পাশে আঘাত করে। এতে মৃত্যু না হলে তারা মেয়েটির গলা টিপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তার লাশ এলাঙ্গী উচ্চবিদ্যালয়ের দেয়াল-সংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গায় ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার শিশুকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ধুনট থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে । পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।