আত্মহত্যার কথা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন এক তরুণী। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বন্ধুরা তাই ছুটে গিয়েছিলেন তরুণীর বাসায়। কিন্তু সেখানে তাঁর কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। উপায় না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। এরপর দ্রুত পুলিশ গিয়ে তরুণীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।

ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের হালিশহরের একটি বাসায় ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোরে।

জাতীয় জরুরি সেবার জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, হালিশহরের একটি বাসা থেকে ৬ জানুয়ারি ভোর সোয়া ৪টার দিকে এক ব্যক্তি ৯৯৯-এ ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁদের বাসার নিচতলায় একজন তরুণী ভাড়া থাকেন। রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর কয়েকজন বন্ধু এসে জানান, তরুণীটি আত্মহত্যা করবেন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ফোনেও কয়েকজন বন্ধুকে আত্মহত্যা করার কথা বলেছেন। এরপর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। শেষে ওই বন্ধুরা গভীর রাতেই তরুণীর বাসায় চলে আসেন। এরপর আধ ঘন্টা ধরে তাঁরা তরুণীর আসার দরজা ধাক্কাধাক্কি করেও কোনো সাড়া পাননি।

বিষয়টি ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হালিশহর থানাকে জানানো হয়। এর পরপরই থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই তরুণী আগ্রাবাদ এলাকার একটি হোটেলে চাকরি করেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। চিকিৎসকেরা বলেছেন, তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ৬ জানুয়ারি সকালে তরুণীর অবস্থা জানতে ৯৯৯ থেকে হাসপাতালে ফোন করা হয়। ওই তরুণীর অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে এ সময় আশ্বস্ত করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। তবে তাঁর আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।