ওপেন হাউস ডেতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার)। ছবি: বিএমপি

‘প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং একার পক্ষে সম্ভব নয়। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বোধসম্পন্ন সুনাগরিকদের অংশগ্রহণে প্রো-অ্যাকটিভ পুলিশিং জোরদার করে সুস্থ-নিরাপদ সমাজ উপহার দেওয়া সম্ভব।’

ওপেন হাউস ডেতে রোববার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা চত্বরে উল্লিখিত কথাগুলো বলেন বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিগত ওপেন হাউস ডেতে আগত ভুক্তভোগী জনসাধারণের উত্থাপিত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানে এয়ারপোর্ট থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার জবাবদিহিমূলক বিবরণী (মিউনিট) পড়ে শোনানো হয়।

পরে উপস্থিত ভুক্তভোগীরা বিএমপি কমিশনারের কাছে নানা বিষয়ে তাঁদের সমস্যা তুলে ধরেন। পুলিশ কমিশনার তাঁদের উত্থাপিত সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘থানা হলো মূল সেবাকেন্দ্র। আমরা থানাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকায় ভাগ করে বিট অফিসার নিয়োগ করেছি। বিট পুলিশিং হলো একটি নির্ভেজাল সেবামাধ্যম। সেবার মান আরও বাড়াতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং আরও জোরদার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছের মানুষ হয়ে, ঘরের পুলিশ হয়ে, জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা শুনে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে সমাজের যাবতীয় অপরাধ দানা বাঁধার আগে তা নিয়ন্ত্রণ করা বিট অফিসারের কাজ।’

বিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিট অফিসার শুধু একজন পুলিশ অফিসারই নন, বরং তিনি তার বিট এলাকার একজন সামাজিক নেতা; প্রত্যেক মানুষের অত্যন্ত আপনজন। বিট অফিসাররা বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সামাজিক শক্তি ব্যবহার করে সমাজকে ভারসাম্যপূর্ণ করে সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে শান্তি স্থাপনে মানবিক ভূমিকা রাখছেন।’