গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন হামলায় আহত নায়েক মো. আবদুর রাজ্জাককে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেখার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ছবি: পুলিশ নিউজ

ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের অকুতোভয় সদস্যরা দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনে কখনো কুণ্ঠাবোধ করেন না। দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যরা আগামীতেও কর্তব্যে অবিচল থেকে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন হামলায় আহত নায়েক মো. আবদুর রাজ্জাককে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে দেখার পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত আবদুর রাজ্জাক গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বিএনপির ডাকা সমাবেশস্থলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি কর্মীরা পাইপ, লাঠিসোঁটা দিয়ে নৃশংসভাবে তাঁর মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভারতের দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ২০ দিন আইসিইউতে ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘দুই মাস দুই দিন চিকিৎসা শেষে তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ১১ জানুয়ারি তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর সুচিকিৎসার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

ওই সময় জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন সবাই মিলে একযোগে কাজ করছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘুমধুমে এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহতের ঘটনায় স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’