বরুড়া থানা-পুলিশের হেফাজতে ডাকাত দলের ৫ সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কুমিল্লার বরুড়ায় গোলাগুলির পর ‘ডাকাত দলের’ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এ সময় গোলাগুলিতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোর রাতে লক্ষ্মীপুর শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন কুমিল্লার তিতাসের দক্ষিণ নারিন্দা গ্রামের রেনু ওরফে নয়ন (২৮), চান্দিনার পরচঙ্গা গ্রামের কাউছার (৪০), ব্রাহ্মণপাড়ার পূর্ব পোংকার গ্রামের জহিরুল ইসলাম জহির (৪২), দেবিদ্বারের চুলহাস গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৮) ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রায় তাতেরকাটি গ্রামের খলিলুর রহমান খলিল (৪৫)।

মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ভোর রাতে বরুড়া থানা-পুলিশের একটি দল লক্ষ্মীপুর শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মাঠে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় ১১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়।

তিনি বলেন, এ সময় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ডাকাতদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ডাকাত দলের ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দুই সদস্য আহতও হন, তাদের বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ কাঠের বাঁটযুক্ত একনলা বন্দুক, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ছেনিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২ থেকে ১৫টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।