প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ছবি: পুলিশ নিউজ

গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও এর যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্স আবশ্যক। এ ছাড়া তদন্ত কাজে সহায়তা করা পুলিশের অন্যতম গুরুদায়িত্ব। এ কারণে শনিবার (১৯ মার্চ) পুলিশ সদস্যদের জন্য শুরু হয়েছে বেসিক ইন্টেলিজেন্স ও তদন্ত সহায়ক প্রশিক্ষণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, বিপিএম, পিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুরের কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম। জেলার বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, পুলিশ কনস্টেবল এবং এএসআইগণের এই প্রশিক্ষণ ত্রিশটি ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মধ্যে দিনাজপুর জেলায় প্রথম শুরু হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের সিলেবাস প্রণয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় এবং ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার দিনাজপুরের কমান্ড্যান্ট মো. শাহজাহান পিপিএম।

আধুনিক, যুগোপযোগী, তাত্ত্বিক এবং বাস্তবিক জ্ঞানের সমন্বয়ে বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্সের প্রতিটি বিষয়বস্তু বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের গুণগতমান এবং উৎকর্ষ সাধনে ক্রিয়াশীল ভূমিকা রাখবে।

পুলিশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ সংক্রান্ত মামলায় তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে আদালতের বিচার কার্যক্রমকে সহায়তা করা। তদন্তে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহায়তা করে থাকেন পুলিশ কনস্টেবল এবং এএসআইগণ। তাঁদের এই সহায়ক কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং বেগবান করতে আইনি প্রক্রিয়ার যথাযথ জ্ঞান অত্যাবশ্যক। এই জ্ঞানকে শাণিত এবং ব্যবহার উপযোগী করার লক্ষ্যে তদন্ত সহায়ক কোর্স অপরিহার্য। এই প্রশিক্ষণ শেষে কনস্টেবল এবং এএসআইগণ মামলার তদন্ত কার্যক্রম আরও দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবে।