সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন আজ। ১৯৭২ সালের আজকের এ দিনে (৯ ডিসেম্বর) তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই অটিজম বিশেষজ্ঞের জন্মদিনে তাঁর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২১’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে মেয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন তিনি।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, একটি অনুরোধ করব, আজকে আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্মদিন, সবার কাছে দোয়া চাই।

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য পুতুলের অবদানের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘সে (সায়মা ওয়াজেদ) অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছে। একটা বিরাট পরিবর্তন সায়মা ওয়াজেদ আনতে পেরেছে। সেটা হলো এখন কেউ এই অটিস্টিক বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলে তাদেরকে আর লুকিয়ে রাখে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় এই অটিস্টিক বা প্রতিবন্ধী শিশুরা জন্ম নিলে বাবা-মা তাদের লুকিয়ে রাখত। যদি কোনো মায়ের সন্তান, কিন্তু সেই জন্ম দিলো কেন মাকেও পরিবারে অনেক সময় লাঞ্চিত হতে হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু জন্ম নিলে তাকে স্বামী তালাক দিয়ে দিয়েছে বা আরেকটা বিয়ে করেছে। এই ধরনের একটা অবস্থা আমাদের সমাজে ছিল।

অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথাও তুলে ধরেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

সারাবিশ্বে অটিস্টিক শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন পুতুল। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য ও একজন মনোবিজ্ঞানী। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পুতুলকে ‘ডব্লিউএইচও অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে।মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।