প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পারমাণবিক চুল্লিপাত্র বা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপন করা হয়েছে ৷ রোববার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর সমকালের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণুবিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, ইউনিট-১-এর ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হলো। এর ফলে এই ইউনিটের রিঅ্যাক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে ৷

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে রুশ নকশায় রূপপুরে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিঅ্যাক্টরের দুটি ইউনিট তৈরি হবে। শিডিউল অনুসারে ২০২৩ সালে ইউনিট-১ ও ২০২৪ সালের ইউনিট-২ চালুর কথা রয়েছে।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটম রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের প্রাথমিক চুক্তিটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রূপপুর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য এই রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেলটি রাশিয়া থেকে জলপথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে দেশে পৌঁছায়। সেটি স্থাপনের জন্য এক বছর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়। রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে মূল জ্বালানি থাকে। সেখান থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে।

রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম জানায়, পারমাণবিক চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে নৌপথে ঈশ্বরদীর পাকশীর পদ্মা নদী হয়ে রূপপুরে আনা হয়।