পাবনায় গৃহবধূ শিউলি হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পাবনার আমিনপুরে গৃহবধূ শিউলি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত গৃহবধূ মোসা. শিউলী খাতুন (৩০) পাবনার আমিনপুরের রূপপুর ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী গ্রামের মো. তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। তাঁর স্বামী মো. বিদ্যুৎ আলী শেখের (৩৫) বাড়ি আমিনপুর থানার বাদাই এলাকায়।

জেলা পুলিশ জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর আমিনপুর থানার কাঠালডাঙ্গী গ্রামে গৃহবধু শিউলির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে আমিনপুর থানা-পুলিশ। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে শিউলির মা ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে এসে দেখতে পান শিউলির ঘরের দরজা খোলা। তিনি ঘরে ঢুকে মেঝেতে শিউলির রক্তাক্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ও পাড়াপ্রতিবেশী এগিয়ে আসে। তবে তখন শিউলির স্বামীকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে আমিনপুর থানা-পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সুজানগর থানার হাটখলি এলাকা থেকে শিউলির স্বামী বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানায়, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লাগত। এর এক পর্যাায়ে আসামী পরিকল্পনা করে যে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে। এই চিন্তা থেকে আসামী ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ৪টার দিকে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে আসামিকে নিয়ে স্থানীয় একটি ধানখেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ। আসামি বিদ্যুৎ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।