পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার আসামি

পাবনার আতাইকুলা থানা-পুলিশ দড়িশ্রীকোল গ্রামের চাঞ্চল্যকর কৃষক আ. কুদ্দুস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আকমল হোসেন (৪৫)। ২১ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, কৃষক আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) ৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার সময় তাঁর নিজ বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। দুদিন পর ১০ আগস্ট দুপুর পৌনে ১২টার সময় আতাইকুলা থানা-পুলিশ সানুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়িশ্রীকোল গ্রামের জনৈক মো. খাইরুলের বাড়ির টিনের বেড়ার বাইরে পশ্চিম পাশে অবস্থিত টয়লেটের পাশে থাকা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় আতাইকুলা থানায় একটি মামলা হয়।

মামলা হওয়ার পরপরই পাবনা জেলার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন), আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাফিজুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমানের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের নির্দেশ দেন।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের তথ্যমতে মামলার প্রধান আসামি মো. আকমল হোসেনকে ২১ আগস্ট রাতে ঝিনাইদহ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়ে স্বীকার করেন এবং জানান, ৭/৮ মাস আগে এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি মোসা. জোসনা খাতুনের সঙ্গে তাঁর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ভিকটিম আব্দুল কুদ্দুস এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন এবং ঘটনা এলাকায় প্রচার করে বেড়ান। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তাঁর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম কুদ্দুসকে হত্যা করার জন্য মনস্থির করে সুযোগ খুঁজতে থাকেন।

এরই একপর্যায়ে ৮ আগস্ট ভিকটিমকে একা পেয়ে তাঁকে একটি মাঠে ডেকে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং লাশ কাঁধে করে নিয়ে একটি বাড়ির টয়লেটের পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখেন।