পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণহানি ১ হাজার ১০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। মৃতদের মধ্যে ৩৮০ জন শিশু বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, মুষলধারে বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ জলমগ্ন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির এবারের এ দুর্যোগকে ‘নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে ৩০ আগস্ট (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তুমুল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট ঐতিহাসিক এ বন্যায় অসংখ্য বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। বিপদে পড়েছে দেশটির সোয়া ৩ কোটি মানুষ, যা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে দুর্গম এলাকাগুলোয় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে এবং খাবার সরবরাহে কাজ করছে। ৫ কোটি জনসংখ্যার সিন্ধু প্রদেশ এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শেরি রহমান বলেছেন, ‘কার্যত দেশের এক-তৃতীয়াংশই এখন পানির নিচে।’ বিপর্যয়ের মাত্রাকে ‘নজিরবিহীন’ বলার পাশাপাশি পানি শিগগিরই নামছে না বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

ইসলামাবাদে নিজের কার্যালয়ে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বন্যায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ৩৮০ জন শিশু আছে।

এ ‘নজিরবিহীন জলবায়ু বিপর্যয়ের’ প্রভাব দেখতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বৈশ্বিক এ সংস্থার এক মুখপাত্র।