বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স।

অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সেরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।’

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

বরিস জনসন এক ভাষণে ক্ষমতায় থাকাকালীন তাঁর নানান সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। করোনা মহামারির সময়ে পুরো ইউরোপে টিকা সরবরাহ ও ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তিনি ১৯৮৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে। 

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন বলে একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দিন ধরেই মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছেন বরিস জনসন। অল্প কিছু মিত্র বাদে প্রায় সবাই তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বরিস জনসনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা কেলেঙ্কারির জেরে গতকাল বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে একে একে ২৭ জন পদত্যাগ করেছেন 

কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন টুইটারে বলেছেন, ‘তাঁর পদত্যাগ অনিবার্য ছিল। একটি দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বরিস জনসন যদি দল থেকেও পদত্যাগ করেন, তবে কনজারভেটিভদের এখন নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতা নির্বাচন করা প্রায় দুই মাসব্যাপী একটি লম্বা প্রক্রিয়া। 

করোনা মহামারির সময় থেকে বিভিন্নভাবে সমালোচনার মুখে পড়েন বরিস জনসন। ২০২০ সালের মে মাসে লকডাউনের সময় বেশ কয়েকজন অতিথি নিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন জনসন। তখন তাঁর এই কাণ্ড ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ওই পার্টিতে আসার জন্য অতিথিদের সঙ্গে করে মদ আনতে বলেছিলেন তিনি। বরিস জনসন অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ই-মেইলের মাধ্যমে। গত জানুয়ারিতে ই-মেইলটি ফাঁস হয় এবং গণমাধ্যমে সংবাদ হয়। পরে পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন।