নড়াইলে পৃথক দুটি মাদক মামলায় তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। খবর বাসসের।

পৃথক দুটি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তি হলেন যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার খোজারহাট গ্রামের দক্ষিণপাড়ার অজিত কুমার দেবনাথের ছেলে কার্তিক দেবনাথ, চৌগাছা কারিকর পাড়ার খোকন আহম্মেদ মন্ডলের ছেলে জুয়েল রানা ও চৌগাছা হুদাপাড়ার আহসান মোল্যা ওরফে কুটির ছেলে জহুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় কার্তিক দেবনাথ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত মো. জুয়েল রানা ও জহুরুল ইসলাম পলাতক।

নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ইমদাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পৃথক দুটি মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর বেলা পৌনে ৪টার সময় যশোর থেকে নড়াইল অভিমুখী একটি আলমসাধু নড়াইল সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের আবাদ গ্রাম নামক স্থানে পৌঁছালে কর্তব্যরত পুলিশ গাড়ির চালকের টুলবক্সের নিচে থেকে ৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কার্তিক দেবনাথ ও মো. সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামি কার্তিক দেবনাথ দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

এ ছাড়া ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর বেলা সকাল ১০টার সময় যশোর থেকে নড়াইল অভিমুখী ইঞ্জিনচালিত একটি করিমন গাড়ি সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের চাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে কর্তব্যরত পুলিশ গাড়ির নিচে থেকে ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ জহুরুল ইসলাম ও মো. সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মো. জুয়েল রানা ও জহুরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।