মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের কাছে গিয়ে তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। নিজের যোগ্যতায় কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাংলাদেশ জার্নালের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা সবক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় আসবে, এটা কেউ ভাবতে পারেনি। নানা বিশৃঙ্খলা কাটিয়ে আওয়ামী লীগের পথচলা। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, আদর্শ নিয়ে যে এগিয়ে যাওয়া যায়, তা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল, তারা দেশ, জনগণ ও স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি-জামায়াত তাদের অপকর্মের সাজা যেন যথাযথভাবে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, উন্নয়ন করে জবাব দেয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। এখনো শুনি সরকার উৎখাত করে ফেলবে। সরকারের পায়ের নিচে নাকি মাটি নাই, তাদের পায়ের নিচে মাটি আছে নাকি এটাই আমার প্রশ্ন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে বলেন, মনোনয়ন না পেলেও নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যেন চলে না যায়। নিজে কী পেলাম, তা না ভেবে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। নিজে কী পেলাম চিন্তা করলে নিজেও উঠতে পারবে না, কাউকে টেনেও তুলতে পারবে না। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। নিজের যোগ্যতায় কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।

এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আজ সকাল থেকেই গণভবনের সামনে ছিল মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিড়। সকাল থেকেই তাঁরা জড়ো হন গণভবনের সামনে। ফরমের স্লিপ অংশ দেখিয়ে তাঁরা গণভবনে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এবার ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৫৪৯ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে ১ হাজার ৫৪৯টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গণভবনে সাক্ষাৎ করতে ডাকেন।