আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাশকতা করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে কারো ক্ষমা নেই ।

তিনি আজ বুধবার সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.) মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিনের ।

তিনি বলেন, ভোট বানচালের জন্য যারা মানুষ খুন করবে, এদেশের মানুষ তাদের উৎখাত করবে। এদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তারা বিএনপির হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে এই যে সিলেটে আমি এসেছি, এই সিলেটে কিন্তু এখন আর কোনো ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষ নেই। প্রত্যেকটা ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে আমরা ঘর করে দিতে পেরেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক দিয়েছি তাদের চিকিৎসার জন্য। অর্থাৎ মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলি, সেগুলো আমরা পূরণ করে যাচ্ছি এবং যেটুকু বাকি আছে, ইনশাআল্লাহ আগামীতে নির্বাচন ৭ জানুয়ারি, বাংলাদেশের জনগণ যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়, আবার যদি সরকার গঠন করতে পারি, পুরো বাংলাদেশটাকেই আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ করব।

আর কোনো মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন-ভূমিহীন থাকবে না। এটাই আমাদের নিয়ত। আর কিচ্ছু না। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশটাকে উন্নত-সমৃদ্ধ করা।

ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। কিন্তু সেটাকে কার্যকর করতে হবে। আমি জানি আমাদের সরকারই এটা কার্যকর হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বেশ ভালোই খেলা চলছে। একজন লন্ডন বসে হুকুম দেয়, আর এখানে তার কিছু চ্যালা আছে আগুন দেয়।
বাংলাদেশ নিয়ে এইভাবে খেলা, দুর্বৃত্তপরায়ণতা বাংলাদেশের মানুষের কেউ মেনে নেবে না। সেটাই আমরা চাই। মানুষ এত শান্তিতে ছিল, আজকে এত কষ্টের পরেও, কোভিড হলো, ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন, সবকিছুর পরেও আমরা তো আমাদের অর্থনীতিটা ধরে রেখেছিলাম। মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা, ভর্তুকি দিয়ে দিয়ে আমরা তাদের জন্য খাবার কিনে নিয়ে এসে তাদের দিচ্ছি, সব রকম ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। রাস্তাঘাট সবকিছুই তো উন্নতি করেছি। কোথায় কোন জায়গাটা আমরা বাদ রেখেছি? আমাদের বিরুদ্ধে এখন আন্দোলন করার নাম দিয়ে তারা এভাবে দুর্বৃত্তপরায়ণতা করছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে।বিদেশে বসে যারা এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ইন্ধন দিচ্ছে, তারা কি সফল হবে—এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, কোনোদিন সফল হবে না, হতে পারে না। এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে জনগণকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি, এটাই বাস্তবতা।

এর আগে সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালালের (র.) মাজার জিয়ারত করেন। ছোটবোন শেখ রেহানা তার সঙ্গে আছেন।