প্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।

আটক ব্যক্তির নাম আল রাব্বী। তাঁর স্ত্রীর নাম রত্না বেগম (১৮)। রত্না ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগ্যের পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রাব্বীও একই এলাকার বাসিন্দা।

রত্নার পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার পর ৭ মাস আগে পারিবারিকভাবে রাব্বী ও রত্নার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই রাব্বী মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। টাকা জোগাড় করে দিতে প্রায়ই তিনি স্ত্রীকে মারধর করতেন।

আজ দুপুরেও বাবার বাড়ি থেকে রত্নাকে ১ লাখ টাকা এনে দেওয়ার কথা বলেন রাব্বী। টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে রত্নাকে মারধর শুরু করেন রাব্বী। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে রত্নার পেটে ও গলায় আঘাত করেন তিনি। এর পরপরই তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তখন রত্নার চিৎকার শুনে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রত্নাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রত্নাকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও গলায় কালচে দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর রাব্বী পালিয়ে গেলেও অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

রত্নার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।