চুরি হওয়া নবজাতককে মায়ের কোলে তুলে দিচ্ছেন নাটোর থানাপুলিশের সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

নাটোরে চুরি হওয়ার ২০ ঘণ্টার মধ্যে এক নবজাতককে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে নাটোর সদর থানাপুলিশ। এর আগে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ এলাকা থেকে কন্যাশিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে একদিনের ওই কন্যাশিশু চুরি হয়।

গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে মোসা. হানাহানি নামের এক নারী শিশুটির জন্ম দেন। ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শিশুটিকে তার দাদি কোলে নিয়ে ছিলেন। সেসময় নার্সের পোশাক পরা এক নারী এসে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে যান। পরে ওই ‘নার্স’ ফিরে না আসায় তারা খোঁজ শুরু করেন। হাসপাতালের ভেতর এবং হাসপাতালে আশেপাশে সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে শিশুকে না পেয়ে তার বাবা মাহফুজুর রহমান ৯ জুন নাটোর থানায় অজ্ঞাতনামা ১ জন নারীর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করলে থানা তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে।

মামলা হওয়ার সাথে সাথে জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের সার্বিক দিক-নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে নাটোর থানাপুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হয়। অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একাধিক টিম গঠন করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার নাটোর থানার এসআই মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং এসআই মো. জামাল হোসেনের অক্লান্ত পরিশ্রম, সিসিটিভি ফুটেজের বিশ্লেষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় আজ ১০ জুন ভোর ৫টায় নাটোর থানাধীন চকবৈদ্যনাথ এলাকা হতে নবজাতককে চুরি করা ছদ্মবেশী মনার্স মোসা. কাজলীকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয় ।

গ্রেপ্তার নারীর দেওয়া তথ্যমতে নাটোর থানাপুলিশ কুষ্টিয়া জেলার সদর থানাধীন খাজানগর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে কাজলীর স্বামী মো. সাইফুল ইসলামের হেফাজত থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করে ।

নাটোর থানা পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে চুরি হওয়ার ২০ ঘন্টার মধ্যে নবজাতক ফিরে ফেল তার মায়ের কোল।