রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, ধোঁয়া, ধুলোবালি, উচ্চ শব্দ ট্রাফিক পুলিশের নিত্যসঙ্গী। পবিত্র রমজান মাসেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রোজা রেখে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রাজধানীর পথে পথে নিরন্তর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ। নগরীবাসী যাতে সঠিক সময়ে বাড়ি পৌঁছে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করতে পারেন, সে জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁরা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা হয়ে ওঠে না তাঁদের। নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে সড়কেই ইফতার করতে হচ্ছে তাঁদের। ব্যস্ততার কারণে বসার সুযোগও মেলে না, তাই দাঁড়িয়েই করতে হয় ইফতার।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিজয় সরণি ট্রাফিক মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম।
ইফতারের সময়ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যগণের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইফতারের সময় সবাই বাসায় ইফতার করার জন্য গাড়ি নিয়ে ছুটছে। কিন্তু আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকেন, যাতে সবাই স্বস্তিতে বাসায় গিয়ে পরিবার নিয়ে ইফতার করতে পারেন। তাঁরা ইফতারের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। এ সময় তাঁরা এক হাতে পানির বোতল নিয়ে ইফতার করেন এবং অন্য হাতে সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখছেন।
তিনি আরও বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সম্মানে আমরা প্রত বছর বিভিন্ন ট্রাফিক মোড়ে তাঁদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হই। ডিএমপির যেসব ট্রাফিক পুলিশ সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে নগরবাসীকে বাসায় ইফতার করার সুযোগ করে দিচ্ছেন, আমি তাঁদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা শুধু ট্রাফিক পুলিশের দোষত্রুটি দেখেন। কিন্তু তাঁরা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে মানবিক দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
এ সময় অসহায়, দরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করে ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।