স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্বিতীয় জাতীয় লেপরোসি (কুষ্ঠ রোগ) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : বাসস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোকে উন্নত মানের ওষুধ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে আমরা দৃঢ় অঙ্গীকার করছি।’

রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্বিতীয় জাতীয় লেপরোসি (কুষ্ঠ রোগ) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যাপ্রোচ টু জিরো লেপরোসি বাই ২০৩০-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য তহবিল বাড়ানোসহ সব ধরনের সহযোগিতা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

সরকার কুষ্ঠ নির্মূল কার্যক্রমকে আরও শক্তিশারী করার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রতিরোধ করাটাই সবচেয়ে বেশি দরকার। কী কারণে হচ্ছে এবং এটা যেন আর না হয়, সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

তিনি আরও বলেন, কুষ্ঠরোগ শূন্যে নামিয়ে আনার জন্য ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর লেপরোসি ইন বাংলাদেশ ২০২২-২০৩০’ প্রণয়ন এবং যথাযথভাবে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

কুষ্ঠরোগীদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য ব্রিটিশ সরকার যে আইন করেছিল, ‘দ্য লেপারস অ্যাক্ট, ১৮৯৮’ তাঁর সরকার তা রোহিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই এখন আর কেউ কুষ্ঠরোগীদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। পরিবার থেকে শুরু করে আশাপাশের আর কেউ তাদের ঘৃণার চোখে দেখতে পারবে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণার বিদ্যমান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা ও পদক্ষেপ আমরা নিতে পারব।

এ সময় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ দেশের সব নাগরিককে কুষ্ঠরোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। কুষ্ঠ নির্মূলের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছাদূত এবং জাপানের নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাগত বক্তব্য দেন।