ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক নারীর হাতে উপহার তুলে দিচ্ছেন বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ দুর্গম পার্বত্য এলাকায় বসবাস করে, যেখানে মৌলিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো কষ্টসাধ্য। এ এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ার কারণে এখানে মাথাপিছু আয় এবং ক্যালরি গ্রহণের হার জাতীয় হারের চেয়ে কম। স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, বিদ্যালয়ে ভর্তির হার, নারী শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়নিষ্কাশন সুবিধা বিবেচনায় তিন পার্বত্য জেলা নিচের সারিতে অবস্থান করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বান্দরবান এলাকার আর্থ-সামাজিক সূচকের উন্নয়ন, বিশেষ করে মা ও শিশুর সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

পুলিশ সুপার প্রতি মাসে দুবার বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার গহীনে দুর্গম কোনো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাড়ায় অবস্থান করে সেখানকার মানুষদের মাঝে কমিউনিটি ট্যুরিজম বিকাশে ধারণা প্রদান করেন। তিনি সেখানকার পাড়াবাসীদের জন্য বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, শিশুদের শিক্ষা উপকরণ, তাদের সংস্কৃতি বিকাশে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছেন।

গত এক বছরে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও আলিকদমের দুর্গম ২৩টি পাড়ায় কমিউনিটি ট্যুরিজম বিকাশের জন্য বিশেষজ্ঞ টিম নিয়ে অবস্থান করেন পুলিশ সুপার। সেখানে তাঁর নের্তৃত্বে বিভিন্ন জনসেবায় ন্যস্ত ছিল বিশেষজ্ঞ টিম। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভ্রাম্যমান সেবা মোবাইল টিম। জুম চাষ হয় এমন এলাকার মানুষের মাঝে তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা, ওষুধ প্রদান ও অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে এই টিম।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, এখানকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাঝে ট্যুরিস্ট পুলিশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এসব প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করে, সে জন্য জনকল্যাণে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পাড়াবাসীদের সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, এর মাধ্যমে পাড়াবাসী সত্যিকার অর্থে ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবে এবং পর্যটন উন্নয়নে পুলিশকে সহায়তা করবে।