পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ছবি : পুলিশ নিউজ

পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন নিরাপত্তা ও সেবায় আট বছর পূর্তি উপলক্ষে অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। আগামীকাল সোমবার (৮ নভেম্বর) কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও বর্ণিল নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা বিচ থেকে লাবণী বিচ পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হবে। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি হিসেবে র‌্যালি উদ্বোধন করবেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, লাবণী বিচে ফানুস ওড়ানো, লাইট শো, আতশবাজি ইত্যাদি।

আগামী ১১ নভেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন শেষ হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)।

কক্সবাজারকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ভেন্যু হিসেবে নির্বাচনের কারণ তুলে ধরে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খান বলেন, ‘কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্রসৈকত। আমরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে ব্র্যান্ডিং করতে চাই। কক্সবাজারকে বিশ্বে তুলে ধরার মাধ্যমে পর্যটন আকর্ষণ বাড়াতে আমরা আইজিপি মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় নিরলস কাজ করছি।’

ইতিমধ্যে পর্যটকদের বিশ্বমানের সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আস্থা অর্জনে ট্যুরিস্ট পুলিশ সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রসঙ্গত, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিশ্বমানের পর্যটন সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৬ নভেম্বর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।