দুদকের পরিচয় দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিমের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তি। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন এলাকায় বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. মোর্তজা কামাল (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের ই-ফ্রড টিম। মোর্তজা সাতক্ষীরার একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

আসামি মো. মোর্তজা কামালের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি ফোন, ১৪টি সিম কার্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে একটা প্রতারক চক্র দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি ও ব্যক্তিগত নম্বরে কল দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আছে উল্লেখ করে টাকা দাবি করে আসছিল। মামলাসহ চাকরির ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে বিকাশ এবং নগদ নম্বরে টাকা গ্রহণ করছিল তারা। এর ধারাবাহিকতায় ওই প্রতারক চক্র গত ১০ আগস্ট একজন সরকারি কর্মকর্তাকে তাঁর অফিশিয়াল মোবাইল নম্বরে কল করে নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগ তদন্তাধীন আছে বলে জানায় এবং মামলা থেকে রক্ষা এবং চাকরি বজায় রাখতে চাইলে তাঁকে টাকা দিতে বলেন।

টাকা প্রদানের জন্য বিকাশ নম্বরও প্রদান করেন প্রতারক। বিষয়টি নিয়ে তাঁর সন্দেহ হলে তিনি টাকা না দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। মামলাটি আদালতের নির্দেশে সিটি সাইবার ক্রাইম বিভাগে তদন্তভার হস্তান্তরিত হলে সিটি সাইবার ক্রাইম বিভাগের ই-ফ্রড টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটি শনাক্ত করে।

গ্রেপ্তার আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ.ফ.ম আল কিবরিয়ার সার্বিক দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল ইসলাম, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে ই-ফ্রড টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার সুরঞ্জনা সাহার নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে এডিসি নাজমুল বলেন, ‘অনলাইন বা অফলাইনে ভুয়া পরিচয়ে যে কেউ যে কাউকে ব্ল্যাকমেল করে অবৈধ পথে অর্থ আয়ের চেষ্টাকে রুখে দিতে আমরা কাজ করছি। ভিকটিমদের আমাদের কাছে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’