আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মহাসড়ক চাঁদাবাজিমুক্ত রাখতে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের ২২টি থানা ও ফাঁড়ির ৬৬টি প্যাট্রল টিমের পাশাপাশি ইমার্জেন্সি সামাল দিতে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।

রোববার (১৮ জুন) সকালে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের সমন্বয় ও মাসিক অপরাধ সভায় হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ রেসপন্স টিম গঠনের বিষয়টি জানান। খবর জাগো নিউজের।

সভায় হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরহাদসহ সার্কেল এএসপি, কুমিল্লা রিজিওনের ২২ থানার ওসি ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকনেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের পাশাপাশি বিশেষ ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ নিজেই একটি স্পেশাল টিমসহ মহাসড়কের শৃঙ্খলা তদারক করবেন বলে জানিয়েছেন। মহাসড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে ঘরমুখী মানুষের ঈদযাত্রা এবারও স্বস্তির ও নিরাপদ হবে বলে জানান তিনি।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সমন্বয় সভায় সব ধরনের দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো দুর্ঘটনা সামাল দিতে পর্যাপ্তসংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।

ঈদের আগপর্যন্ত মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয় সমন্বয় সভায়। এ ছাড়া ঈদের আগে ও পরের সপ্তাহব্যাপী হাইওয়ে পুলিশের দুটি গোয়েন্দা টিম কাজ করবে। পুরো কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি ৫টি সাব কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ কুমিল্লা রিজিওনের ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও কোনো সংগঠন বা কোনো চক্রকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট গন্তব্য ব্যতীত ভিন্ন কোনো জায়গায় জোর করে গাড়ি থেকে কোরবানির পশু নামানো যাবে না। প্রয়োজনে হাইওয়ে প্যাট্রল সেই গাড়িকে তার নির্দিষ্ট হাটে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। চাঁদাবাজির যেকোনো অভিযোগ পাওয়ামাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।