পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

মামলা তদন্তে তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন।

সভায় সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান বিপিএম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. হায়দার আলী খান, ডিআইজি মো. রেজাউল হক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাডিশনাল ডিআইজি (স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এনআরবি অ্যাফেয়ার্স) মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সভায় গত জুলাই মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি তুলে ধরেন।

অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন বিপিএম (বার) পিপিএম পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, চুরি, ডাকাতি মামলা রোধে তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। পারিবারিক সহিংসতা রোধে বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি আসন্ন দুর্গাপূজা সামনে রেখে প্রতিমা তৈরি ও পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, কেউ যেন বাজার কারসাজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়াতে না পারে, সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে।

সভায় উপস্থাপিত অপরাধ পর্যালোচনায় দেখা যায়, আলোচ্য মাসে জুন মাসের তুলনায় মোট মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা এবং উদ্ধারের কারণে মামলা হ্রাস পেয়েছে।