কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন। ছবি: সমকাল

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের প্রথম দিন শুরু হলো ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বহুল প্রতীক্ষিত ট্রেন চলাচল। এই রুটের প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ এক হাজার ৩০ জন যাত্রী নিয়ে আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার থেকে রওনা হয়।

ট্রেনটির রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ঢাকায় পোঁছে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। এই রুটে সময় লাগবে আট ঘণ্টার মতো; থাকবে না কোনো বিরতি। খবর সমকালের।

গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করেন। এর তিন সপ্তাহের মাথায় এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালুকে পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনার হাতছানি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এমনিতে মানুষ ট্রেনে করে পর্যটননগরী কক্সবাজারে যেতে মুখিয়ে আছে। তার ওপর শীত শুরু হয়েছে। ফলে ট্রেনে করে এবার ডিসেম্বরের শুরুতে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের মিলনমেলা হবে।

ট্রেন চলাচলের খবরে বেজায় খুশি কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ মালিকসহ পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা। ইতোমধ্যে তারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, এখন পর্যটক সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেনে করেও আরামে কক্সবাজারে আসতে পারবেন। এ মৌসুমে পর্যটক দ্বিগুণ হবে।

রেলওয়ে জানায়, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেনের শোভন চেয়ারের টিকিট ৬৯৫, এসি চেয়ার ১ হাজার ৩২৫, এসি সিট ১ হাজার ৫৯০ এবং এসি বার্থের ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ার ২০৫, প্রথম শ্রেণির স্নিগ্ধা ৩৮৬, এসি সিট ৪৬৬ ও এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম জানান, শুরুতে এক জোড়া করে ট্রেন চললেও ইঞ্জিন ও জনবল পেলে পর্যায়ক্রমে ছয় জোড়া ট্রেন চালানো হবে।