পুলিশের হেফাজতে গ্রেপ্তার প্রধান আসামি রাহাত। ছবি-সংগৃহীত।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. হাসিবুল হাসান অন্তরকে (২১) তুলে নিয়ে মারধরের পর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করার ৩ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আসাদুজ্জামান। খবর বাংলানিউজের

গ্রেপ্তার আসামি রাহাত সরকার (২৫) গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে সাভারের বিরুলিয়ার আক্রান এলাকায় থাকেন।

বাকি আসামিরা হলেন সাভারের বিরুলিয়ার আক্রান নামাপাড়ার ঌ মনছুর (৪০), একই গ্রামের আশিক৷ (২২), সাহিম (২৩) ও টুটুল (২৪)।

নিহত হাসিবুল হাসান অন্তর ময়মনসিংহ জেলা থানার কাচারি পাড়া এলাকার ভাটিপড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে৷ তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় মোটরসাইকেল চালিয়ে পৌঁছান হাসিবুল হাসান অন্তর ও ফয়সাল সিদ্দিকী বাপ্পী। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাহাত সরকার, মনছুর, আশিক, সিফাত, সাহিম ও টুটুলসহ ১০/১২ জন অন্তরের সঙ্গে থাকা ফয়সাল সিদ্দিকী বাপ্পীকে চড়থাপ্পড় দিয়ে তাড়িয়ে দেন।

পরে অন্তরকে অপহরণ করে খাগানের পাশে বউবাজারের একটি বাগানের ভেতরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করেন। আহত অন্তরকে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতাল ও সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁর বাবা-মা উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর মো. হাসিবুল হাসান অন্তর মারা যান।
আরও জানা গেছে, ঘটনার বিষয়ে থানা-পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি। পরে থানা-পুলিশ অবগতের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তে নামে। ঘটনার বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও ডেপুটি প্রক্টর মো. বদরুজ্জামান বাদী হয়ে ২ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তভার এসআই মো. দিদার হোসেনকে দেওয়া হয়। মামলাটির হওয়ার তিন ঘণ্টার ভেতর রাত ১টার দিকে গাজীপুর জেলা জয়দেবপুর থানা এলাকা থেকে প্রধান আসামি মো. রাহাত সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, ৩ নভেম্বর সকালে আমরা আসামিকে আদালতে পাঠাই। আসামি ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।