ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তরা বিভাগের অভিযানে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি জানায়, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, মো. কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মো. মিজান।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণখান থানাধীন উচারটেক আশকোনা এলাকার একটি বাড়ি থেকে মো. সাদিকুল ইসলাম শুভ নামের এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণখান থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিএমপির গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর চারজনকে নোয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপরাধের কৌশল সম্পর্কে ডিবিপ্রধান বলেন, চুরির জন্য টার্গেট করা মোটরসাইকেলের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতেন মোহাম্মদ আলী ও তাঁর সহযোগীরা। এরপর মোটরসাইকেলের ওপর বসে কথা বলতেন। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদের তৈরি চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলেন। পরে ওই মোটরসাইকেলগুলো নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করতেন।
তিনি বলেন, আসামিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১৫টি মোটরসাইকেলের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ জনের মালিকানা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কম টাকায় এসব চোরাই মোটরসাইকেল যাঁরা কেনেন, তাঁরাও অপরাধী। মোটরসাইকেল চুরি হলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করে ডিবি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
