ডাক ভবনে সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ডাক অধিদপ্তরের সাথে ই-পোস্টের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ছবি: বাসস

ডিজিটাল ব্যবসায় খাতে টেকসই ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে ডাক পরিষেবার ডিজিটাল রূপান্তরে যুক্ত হলো নতুন পালক-ডিজিটাল ডেলিভারি অবকাঠামো। ডাক ভবনে আজ সোমবার মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে ডাক অধিদপ্তরের সঙ্গে ই-পোস্টের এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক এস এম হারুনুর রশীদ এবং ইপোস্ট সফটওয়্যারের পক্ষ থেকে মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। চুক্তি অনুায়ী, দেশজুড়ে বিদ্যমান ডাক বিভাগের বিভিন্ন অফিসগুলোকে কেন্দ্র করে ই-কমার্সের সেবা সম্প্রসারণে ডিজিটাল সল্যুশন দেবে ই-পোস্ট সফটওয়্যার লিমিটেড। আর এই প্ল্যাটফর্মে অচিরেই যুক্ত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। খবর বাসসের।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক বিভাগের সঙ্গে ই-পোস্টের সমঝোতা চুক্তি ডিজিটাল কমার্স সম্প্রসারণে একটি ‘মাইলফলক’। পণ্য সরবরাহ অবকাঠামোর ডিজিটাল সল্যুশন ও ট্র্যাকিং সিস্টেম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানের ডাক ঘরের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যবসার পরিসর বিস্তৃতির মাধ্যমে ডিজিটাল ইকো-সিস্টেম তৈরি করবে ই-পোস্ট।

মন্ত্রী বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। ফলে ডাকঘরগুলোর সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ধারাবাহিকতায় প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ কম খরচে ঘরে বসেই ডিজিটাল শপ থেকে কেনা পণ্য হাতে পাবেন। এই সিস্টেমে দেশের ১০ হাজার পোস্ট অফিসকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হাবের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে। স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে ক্রেতার পণ্য কোথায় আছে তাও সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ডাক ঘরে ই-কমার্সের জন্য একটি আলাদা কর্নার থাকবে যেখান থেকে পণ্য শর্টিং, ট্র্যাকিং এবং দ্রুততম সময়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হবে।