মৃত ডলফিন। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দেশে ডলফিন হত্যা বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বুদ্ধিমান এই প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে মনে করেন পরিবেশবিদেরা। তবে ডলফিন হত্যা ঠেকাতে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এখন থেকে ডলফিন হত্যাকারীদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে জানানো হয়, অনেকে ডলফিনের তেল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে ডলফিন হত্যা করে থাকে। কিন্তু সরকার ডলফিন সংরক্ষণে সর্বদাই সচেষ্ট। এ কার্যক্রমকে সফল করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল রবিবার (২৪ অক্টোবর) ‘শুশুক ডলফিন থাকে যদি, ভালো থাকবে দেশের নদী’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস-২০২১ উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ডলফিন সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের ডলফিন সংরক্ষণের জন্য সাতটি ডলফিন কনজারভেশন দল গঠন করা হয়েছে, অন্যান্য এলাকায়ও এ ধরনের টিম গঠন করা হবে। জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ডলফিন সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ যাবৎ সরকার দেশে ৯টি ডলফিন অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে, অন্যান্য এলাকায়ও এটি ঘোষণা করা হবে।

ডলফিন অ্যাকশন প্ল্যান এবং ডলফিন এটলাস প্রস্তুত করার কথা জানিয়ে মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, হালদা নদীতে ডলফিনের সংখ্যা নির্ণয় এবং ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ডলফিন হত্যার অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন; প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু; আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীন।

বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা করেন সুফল প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. মদিনুল আহসান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. মনিরুল এইচ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করীম।