মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর প্রথম আলোর।

আজ সোমবার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন। বিপথগামী সেনাসদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সশস্ত্র বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে সুরা ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এ ছাড়া জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরপর দলের সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা দিবসটির জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়েও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলের পাপড়ি বিছিয়ে সুরা ফাতিহা পাঠ করেন এবং সেখানে মোনাজাতে যোগ দেন।