রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় সুমন সিকদার ওরফে মুসার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১০ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দা এই আদেশ দেন। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার মুসাকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে আইও বলেন, মুসা ওই হত্যাকাণ্ডের সমন্বয় করেছিলেন এবং টিপু হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ ও মো. নাসিরুদ্দিন মানিক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে মুসার সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছেন।
তাই ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া দরকার।
অপরদিকে মুসার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই বলে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে বিবাদীপক্ষ একটি আবেদন জমা দেয়।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুসাকে রিমান্ডে পাঠান।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৩ বছর বয়সী মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে পুলিশ।
টিপু হত্যায় মুসাকে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নিহত টিপুর স্ত্রী বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, মুসা প্রধান পরিকল্পনাকারী হতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে।
গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়িতে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু। এ ছাড়া অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী প্রীতি (২৪)।
এ ঘটনার পরদিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।