চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী চক্রের হোতা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চট্টগ্রাম নগরীতে অভিযান চালিয়ে একটি ছিনতাইকারী চক্রের হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এরা সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা অন্য যেকোনো গণপরিবহনের যাত্রীদের হাত থেকে ব্যাগ, মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. ফরিদ ওরফে শেখ ফরিদ। তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা এবং ছিনতাই হওয়া একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সিএমপি জানায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএমপির খুলশী থানার উত্তর খুলশী আবাসিক এলাকায় টিউশন শেষ করে রিকশায় উঠে বাসার পথে রওনা হন। রিকশাটি কিছুদূর যাওয়ার পর পেছন থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা এসে ওই চিকিৎসকের হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে অটোরিকশাটিতে চালকসহ চারজন আরোহী ছিলেন বলে দেখতে পেরেছিলেন ওই চিকিৎসক। তাঁর ব্যাগে ৩০ হাজার টাকা এবং একটি মুঠোফোন ছিল।

এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা করেন ওই চিকিৎসক। মামলার পরপরই কাজ শুরু করে দেয় পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার পুরাতন নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের হোতা ফরিদকে তাঁর ব্যবহৃত অটোরিকশাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড লেদু মেম্বারের কলোনি এলাকায় ফরিদের বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি জানিয়েছেন, তিনিসহ তাঁর চক্রের সদস্যরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ঘুরে বেড়ান এবং মুঠোফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করেন। এর আগেও ফরিদ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পাঁচ বছর কারাভোগ করে বের হয়ে তিনি আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।