গ্রেপ্তার সুমন সিকদার ওরফে মুসা। ছবি: নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যা মামলায় সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে চায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এর আগে গ্রেপ্তার ১২ জনকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে এনে মুসার মুখোমুখি করবে ডিবি। খবর নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

শুক্রবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুটার মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে তাঁর দেওয়া জবানবন্দিতে মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসাকে উল্লেখ করেন তিনি। তার পর থেকেই আমরা মুসাকে খুঁজছিলাম। টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘটনার আগেই মুসা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তদন্তের একপর্যায়ে জানতে পারি, মুসা ওমানে অবস্থান করছেন। তখন বাংলাদেশ ইন্টারপোল ডেস্ক ওমানের ইন্টারপোল ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

ওমান পুলিশ মুসাকে আটকের পর সেখানকার পুলিশ আমাদের এসকর্ট পাঠিয়ে নিয়ে আসার জন্য বলে। ডিবি মতিঝিল বিভাগের দুজন এডিসি ও পুলিশ সদর দপ্তরে ইন্টারপোল ডেস্কের একজন সহকারী কমিশনারকে ওমানে পাঠানো হয়। তাঁরা গতকাল মুসাকে নিয়ে দেশে ফেরেন।

হাফিজ আক্তার বলেন, মুসার ১৫ দিনের রিমান্ড চাইব। আগে গ্রেপ্তার আসামিদেরও রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগে গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য ও মুসার কাছে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে, মুখোমুখি করা হবে।

টিপু হত্যায় মুসাকে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নিহত টিপুর স্ত্রী বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, মুসা প্রধান পরিকল্পনাকারী হতে পারে না। এর পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে।

গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়িতে থাকা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু। এ ছাড়া অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী প্রীতি।

এ ঘটনার পরের দিন টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।