পুলিশের অভিযানে নম্বর ক্লোনিংয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: পুলিশ নিউজ

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নম্বর ক্লোনিংয়ের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের যৌথ দল বরিশালের কাউনিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

ওই যুবকের নাম মো. ইমরান হোসেন। গ্রেপ্তারের পর ইমরানের বাসা থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই রাউটার, সিম কার্ড ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর ক্লোনিং করে প্রতারণার কিছু ঘটনা ঘটেছে।

নম্বর ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে খুব সহজেই প্রতারণার ফাঁদে ফেলা সম্ভব। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর ক্লোনিং করার ফলে যিনি কল রিসিভ করেন, তাঁর মোবাইলের স্ক্রিনে দেখতে পান, ওই কর্মকর্তার নম্বর থেকেই কল এসেছে। ফলে যে কেউ স্বাভাবিকভাবে ধরে নেবেন, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছেন।

প্রযুক্তির এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নম্বর ক্লোনিং করে একটি প্রতারক চক্র সরকারি দপ্তরে নিয়োগ, সরকারি ত্রাণসহায়তার আশ্বাসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে।

মেহেরপুর, রাঙামাটি, চাঁদপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা। পরে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে ঘটনার মূল অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়।
মোবাইল নম্বর ক্লোনিংকে প্রযুক্তির ভাষায় ‘নাম্বার স্পুফিং’ বলা হয়। এর সঙ্গে যার নম্বরটি ক্লোন করা হলো, তার সিম কার্ডের তথ্য চুরি বা ডুপ্লিকেট সিম কার্ড তৈরির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।