দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর ইনডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সে জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশে উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে।

সকাল ৬টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকার সাগর উত্তাল রয়েছে।

সাধারণত অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস। এই সময়ে কোনো নিম্নচাপ হলে তা সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। যদি এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে সেটির নাম হবে ‘হামুন’।

আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সময় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের অন্যত্র দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।